Posts

জ্যোতিষ বচন

জ্যোতিষ-বচন -------------------------        শোন শোন মন দিয়ে জ্যোতিষ বচন        বারো রাশি আমাদের করে নিয়ন্ত্রণ        মঙ্গল -মেষ বৃশ্চিকের অধিপতি        ধনু ও মীনের অধিপতি বৃহস্পতি ৷        মকর আর কুম্ভ হল শনির স্ব-স্থান        বৃষ,তূলা রাশি দুটো দৈত্যগুরু পান ৷        রবির স্ব-ক্ষেত্র সিংহ তুঙ্গী তিনি মেষে        কর্কট চন্দ্রের গৃহ, শোন হেসে হেসে ৷        প্রত্যেকেরই দুটো ঘর রবি চন্দ্র ছাড়া        রাহুর সপ্তমে কেতু সততই খাড়া ৷৷                রবি তুঙ্গী মেষে তার তূলা নীচস্থান,          শনি তার বিপরীতে সততই যান ৷        মঙ্গল মকরে তুঙ্গী শুক্র তুঙ্গী মীনে,        বৃষে তুঙ্গী হন চন্দ্র রাতে কিম্বা দিনে ৷        কর্কট রাশিতে হন তুঙ্গী বৃহস্পতি,         কন্যায় বুধ তুঙ্গী শোন ভাগ্যবতী ৷         শুভ গ্রহে শুভ ফল সততই মেলে,         গ্রহগণ মাঝেমধ্যে বক্রী হয়ে গেলে-         কোন ক্ষেত্রে ভাল ফল কোন ক্ষেত্রে মন্দ         নানা মুনি এই নিয়ে করে যান দ্বন্দ্ব ৷৷ গ্রহরাও পরস্পর শত্রুমিত্র হয়,           রবি,শনি ,মঙ্গলকে পাপগ্রহ কয়-           চন্দ্র হন শুভ যদি পূর্ণবলী হন,           শুভ সঙ্গে বুধ শুভ অ

ছড়া

থোড় বড়ি খাড়া আর খাড়া বড়ি থোড় এই করে কাটে দিন রাত হয় ভোর! ভোর হলো দোর খোলো খুকুমণি ওঠো হাই তুলে  নেট খুলে ইস্কুলে  ছোটো! ছোটো তবে এখন তো সবই অনলাইন ক্লাস শুরু  হলে  আগে করে দিও সাইন! সাইন করে বুঝে নাও আজকের  পড়া আমিও সুযোগ খুঁজে লিখি এই ছড়া! ছড়া লেখা শেষ হলে যাই পাকশালে রান্না কী হবে ভাবি হাত দিয়ে গালে! গালে হাত দিলে বুঝি মনে আসে জোর? ধুর ছাই,  ফের সেই  খাড়া বড়ি থোড়। ~~~কপোতাক্ষী©

কবিতা

যার যেদিকেই ঝোঁক, শুধু জানে সেই চোখ তুমি চিনবে না তাকে সে যে ভিনদেশী লোক! তবু পর সে তো নয় সেটা জেনো নিশ্চয় মন থাকে যদি খোলা তবে তার পরিচয়... আছে আকাশে আকাশে সে যে মেঘ হয়ে ভাসে সে-ই ধরণীর কোলে ফুল শিশু হয়ে হাসে! পরিচিতির আড়ালে সে-ই আকাশে পাতালে সৃষ্টিই রচে শুধু প্রলয়ের মায়াজালে! তাকে ভাবো যেই রূপে যত বাঁধো দীপে ধূপে এক কবি এসে তাকে শুধু লিখে যায় চুপে! যত লেখে তত তার খোলে মুক্তির দ্বার আর অসীমের মাঝে শুরু হয় পারাপার! #### কপোতাক্ষী ©

ছড়া

শীত পড়লেই মন খাই খাই করে যত পাই তত চাই তবু যেন খাই খাই... মনে মনে চলে যাই বাংলার ঘরে... ভরে নিয়ে আসি, ঝুলি থরে থরে পিঠে পুলি রোদে বসে ছবি তুলি ধূ ধূ বালুচরে আবার হবে তো দেখা দিন কাটে  একা একা কিছু পড়া কিছু লেখা প্রিয় অবসরে! ~~~ কপোতাক্ষী ব্রহ্মচারী চক্রবর্তী 

গদ্য

এই যে, আপনি... হ্যাঁ, আপনাকেই বলছি। জানেন, আপনার অনেক সম্ভাবনা ছিল।আকাশ স্পর্শ করার সম্ভাবনা... কিন্তু আপনি সেটা হতে দেন নি। কারণ আপনি নিজেই সেই সম্ভাবনার গলা টিপে হত্যা করেছেন। আর আপনার এই হত্যার পেছনে প্রধানত যে দায়ী, সে কিন্তু আপনি নিজেই! আচ্ছা, আপনি তো একসময়  ইংরাজী সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। মনে করে দেখুন তো আপনাকে তখন সবচেয়ে বেশি কোন বিষয় টা টানতো?   Chaucer,Spenser,Elizabethan period, Milton, Dryden, Pope, Victorian period, Romantic period, Eliot, pre modern...এই রে! আমি কি আপনাকে ইতিহাস মনে করাতে  বসলাম? বাদ দিন এসব.... যা বলতে আপনাকে ডাকা... আচ্ছা, আপনার Angel দের কথা মনে পড়ে? সেই Good Angel, Evil Angel দের কথা? পাশ্চাত্য  সাহিত্যে  ওরা কিন্তু একটা বিশাল জায়গা দখল করে ছিল যুগের পর যুগ, এখনও আছে, যারা খোঁজ রাখে, জানে! শুধু আপনিই জানেন না। কারণ আপনি তো এখন শুধু আপনার মৃতদেহকেই বহন করে চলেছেন... Angel দের খবর আপনি জানবেন কী করে? তবে motivational channel গুলো আজকাল আপনাকে বেশ টানে আমি জানি। আপনারও ইচ্ছে করে  সেই angel দের ডেকে যদি আপনার সমস্যাগুলোর সমাধান করা যেতো!  কিন্তু সত্য

আমরা যারা (কবিতা)

আমরা যারা বন্ধু ছিলাম কলেজ এবং স্কুলজীবনে, হৃদ্যতাতে খেদ ছিল না বলবে সেটা আত্মজনে! জানিনা আজ কোথায় আছে ক্লাস ওয়ানের রৌশনারা, ছোট্টবেলার বন্ধু তবু মুখটি আজও হৃদয়কাড়া! ওরও জানি এমনি করে হঠাৎ আমায় পড়বে মনে, আমরা যারা বন্ধু ছিলাম কলেজ এবং স্কুলজীবনে! ক্লাস সিক্সের শাশ্বতী আজ কোথায় আছে হঠাৎ করে পাড়ি দিল নতুন দেশে আমায় রেখে সেই শহরে 'আমরা আবার প্রিয় হয়ে উঠবো' চিঠি লিখল গিয়ে, প্রিয় হবার আগে নিজেই কোথায় যে গেল হারিয়ে বন্ধু যারা ছিল তারা সবাই যেন ভালো থাকে... যে যেখানেই থাকুক না আজ জীবন নদীর অতল বাঁকে ভালো থাকুক ভালোবাসার বন্ধন হোক সুখ আসনে! আমরা যারা বন্ধু ছিলাম কলেজ এবং স্কুল জীবনে! কলেজের দিনগুলোও কেমন ঝড়ের মতো কেটে গেল, ভাবতে তবু ভালো লাগে অনেক বন্ধু জুটেছিল! সবার সঙ্গে দেখা আবার ফেসবুকের ঐ পর্দা জুড়ে, দেয়ানেয়ার পালা শুরু ভালোবাসার হৃদয় খুঁড়ে! এভাবেতেই মিলে যাচ্ছি চলতে চলতে প্রতিক্ষণে আমরা যারা বন্ধু ছিলাম কলেজ এবং স্কুলজীবনে! 😊😊কপোতাক্ষী ©

কবিতা

হঠাৎ আশার আলো  আবার বিষাদগ্রস্ত  মন... তবু  লড়াই অব্যাহত এখন, সারাক্ষণ!  যেভাবে হোক লড়াই টা তো লড়েই যেতে হবে! বিনা যুদ্ধে শান্তি আবার কে পেয়েছে , কবে? যুদ্ধ যেমন চলছে চলুক আস্থা থাকুক মনে আশার আলোয় আঁধার ও তাই যাবেই  নির্বাসনে! ( কপোতাক্ষী ব্রহ্মচারী চক্রবর্তী)